ওয়েব হোস্টিং কি এবং হোস্টিং সার্ভার কিভাবে কাজ করে?
সহজ ভাষায় যদি বলি, তাহলে ওয়েব হোস্টিং হল একটি অনলাইন সার্ভিস বা একটি secure জায়গা। যেটির দ্বারা ইন্টারনেটে আপনি ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন পাবলিশ করে। ঐ সাইটিকে লাইভ বা ভিজিবল করতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে ওয়েব হোস্টিং আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন এর সমস্ত ডাটা একটি সিকিউর জায়গায় জায়গায় সঞ্চিত রাখবে। এবং আপনার ওয়েব সাইটের ডাটা গুলোকে 24/7 ম্যানেজ করবে । একটি প্র্যাকটিক্যাল উদাহরণ যদি দেয়, তাহলে ধরুন আপনার আশেপাশের কোন দোকান বা স্টোর ভাড়া নিতে চান। তাহলে প্রথমে আপনাকে ঐ দোকানের মালিকের সাথে একটি চুক্তি করে নিতে হবে। তারপর সেই দোকানের নাম ডেকোরেশন ও দোকানের ভেতরের জিনিসপত্র রাখতে পারলাম। দোকানের কাস্টমার এসে দোকানের জিনিসপত্র কিনতে পারবে।

সেহেতু একটি দোকানের ক্ষেত্রে প্রথমে দোকানের একটি ডিজিটাল স্পেস ভাড়া নিতে হবে ওয়েব হোস্টিং এর ক্ষেত্রে ঠিক একই ঘটনা ঘটবে। একটি ওয়েব সাইট তৈরীর জন্য প্রথমে আপনাকে একটি জায়গায় চুক্তি বা লিস নিতে হবে আর সেই কাজটি ওয়েব হোস্টিং কোম্পানিগুলো করে থাকে। সেহেতু ওয়েব হোস্টিং মূলত অনলাইন সার্ভিস যার মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেটের একটি জায়গায় ভাড়া নিতে পারবেস সেখানে আপনার সমস্ত ওয়েব সাইটের, File, Data, Text, Button, Videos and everything will be stored in a physics server space যেটিকে Data center সার্ভার বলা হয়।
Data Center কয়েক হাজার অনলাইন কোম্পানি থাকে। ওয়েব হোস্টিং কোম্পানীগুলো ওয়েব হোর্স্টি এর সাথে সাথে আর বিভিন্ন সফটওয়্যা, ব্যান্ডউইথ আরও অনেক সুবিধা দিয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে তাদের সার্ভার এবং অনলাইন কোম্পানীগুলো 24/7 ইন্টারনেট সংযোগ এর সাহায্যে অন করে রাখা হয়। যার ফলে আমাদের ওয়েবসাইটগুলো 24 ঘণ্টায় আমাদের অনলাইনে ভিজিবল থাকে। অনেকে আবার Web Hosting এবং Domain Name নিয়ে অনেক Confusion এর মধ্যে থাকে। এবং অনেকে কেউ কেউ আবার এই দুটোকে একই জিনিস মনে করেন। Domain Name কেনা মানে একটি দোকানের নাম বা দোকানের জায়গার ঠিকানা। ওয়েব হোস্টিং কেনা মানে ঐ দোকানের বা দোকানটার একটি ফিজিক্যাল স্পেস ভাড়া নেওয়া। আশা করি এখন এই দুইটা জিনিসের মধ্যে আর কোন কনফিউশন নেই।
ওয়েব হোস্টিং কোম্পানী গুলো বিভিন্ন ধরনের হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইড করে থাকে। যাতে করে সব ধরনের কাস্টমারদেরকে সন্তুষ্ট ও তাদের প্রয়োজন গুলোকে ভালভাবে পূরণ করতে পারে। সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হোর্স্টি সার্ভিস গুলো হল Shared Hosting, VPS, Cloud Hosting, WordPress Hosting এবং Dedicated Hosting। এদের মধ্যে আবার সবচেয়ে জনপ্রিয় সহজলভ্য হলো শেয়ার হোস্টিং, বাকী হোস্টিং গুলো Personal ব্যবহারের জন্য তেমন ব্যবহার হয় না।

শেয়ার হোস্টিং:
ফলে এখন আমি Shared Hosting নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। নামটা শুনে বোঝা যাচ্ছে যে, Shared Hosting টি অন্য কারও সাথে SHare করতে হবে। মূলত একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও নতুন একটি ওয়েব সাইটের শুরুর দিকে তেমন ভিজিটর থাকে না। সেহেতু প্রথম দিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর তেমন বাজেটও থাকে না। যে সে একটি Cloud Hosting or dedicated hosting কিনবে, এবং এই হোস্টিং সার্ভিসগুলো শুরুর দিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর জন্য তেমন সহজলভ্য হবে না। শুরু দিকে ওয়েব সাইটের যেহেুতু তেমন পরিমাণ ভিজিটর থাকে না। সেহেতু আপনার যতটুক Space এবং Bandwith এর প্রয়োজন ততটুকুর জন্য একটি ছোট হোস্টিং সার্ভার ব্যবহৃত করতে পারবেন।
তারপর আস্তে আস্তে যখন আপনার ওয়েব সাইটের ভিজিটর বেড়ে যাবে। তখন আপনি একটি Clould Hosting Or Dedicated Hosting server এ অনেক সহজে move করতে পারবেন। মূলত একটি Shared hosting Server এর ভিতরে আপনার সাথে সাথে আরও অনেকের ওয়েব সাইটের ডাটা হোস্ট করা হয়। কিন্তু প্রত্যেকের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা ফিক্সড ও আলাদা আলাদা থাকে। সেহেতু Shared Hosting এর Security নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা থাকে না। এসব কারণে মূলত Shared Hosting গুলো অতি সহজলভ্য হয়ে থাকে।
একটি ভালে ওয়েব হোস্টিং সার্ভার কেনার আগে যে যে বিষয় গুলো চেক করে নেয়া বাধ্যতামূলক
এখন একটি ভালো হোস্টিং চয়েস করতে গেলে, অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হয়। আর আগে যদি Hosting সম্বেন্ধে কোন Experience না থাকে তাহলে হোস্টিং কেনার ক্ষেত্রে অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে যায়। একটি ভাল Webs Hosting পছন্দ করার ক্ষেত্রে Uptime এবং Loading time দুটো জিনিস Most important factor। এর সাথে সাথে Overall Speed Performance and Down Time prefer করে।
সবকিছুর পরও সবচেয়ে বেশি যে জিনিস দুটো ম্যাটার করে তা-হল বাজেট তারপরও আমি সাজেস্ট করব একটি হোস্টিং কেনার আগে এই বিষয়গুলো চেক করে নিবেন:
১. Overall uptime ও loading Time টা কত?
২. প্রতি মাসে কি পরিমাণ Bandwidth দিচ্ছে?
৩. কতটি email Accounts সেট আপ করার সুবিধা দিচ্ছে?
৪. Web server এর Disk space কত?
৫. ওই হোস্টিং কোম্পানির Datacenters কয়টি continental এ রয়েছে।
৬. SSL, CDN সহ Daily Backup এর সুবিধা দিচ্ছে কিনা।
৭.৩০ দিনের Money Back Guranety দিচ্ছে কিনা
৮. Main CMS সফটওয়্যার গুলো Autometicall intergation করা রয়েছে কিনা।
৯. কতগুলো subdomain ও অঠঢ় Accounts করার সুযোগ দিচ্ছে?
১০. Most important 24/7 দিচ্ছে কিনা
হোস্টিং সার্ভার কেনার ক্ষেত্রে কোন কোন প্লাটফরম সবচেয়ে ভালো ও নির্ভরযোগ্য
আমাদের এতদিনের কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে ১৪টি ওয়েব হোসি এর সাথে কাজ করার পর একটি ভালো ধারনা হয়ে থাকে কোন হোস্টিং কোন কোম্পানীগুলো সবচেয়ে ভালো ও কোন কোনন কোম্পানীগুলো একেবারে বাজে। আজকে আমি যে Hosting কোম্পানীগুলোকে সাজেস্ট করবো যে Hosting কোম্পানীগুলো আমি বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহার করতেছি। যা সত্যিই অবিশ্বাসনীয়।

1. Siteground
2. Hostinger
এই দুটি কোম্পানী সেবা অতি সাপোর্ট খুবই সন্তুষ্ট জনক। তারা 24/7 এবং 365 দিন Customer Support with technical Assistance রয়েছে।
এছাড়াও এখন বেশকিছু ভালমানের হোস্টিং প্রভাইডার রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি যাচাই বাচাই করে হোস্টিং নিতে পারেন।